দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২২ জুন ২০১৬, ১২:৪৪
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে সামশুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বশান্তি রক্ষায় দক্ষিণ এশিয়াসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অর্জনকে সমুন্নত রাখতে আমরা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যমুক্ত একটি শান্তির আবাস ভূমিতে পরিণত করার জন্য গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যে আমরা পেট্রোলসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের অপব্যবহার এবং সকল ধরনের অস্ত্রের বিস্তার রোধে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাব। এর পাশাপাশি আগামী দিনগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের যেকোনো শুভ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমরা একযোগে কাজ করে যাব।’
সংরক্ষতি নারী এমপি বেগম আখতার জাহানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার যেহেতু একটি রূপকল্প-২০২১ সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে, সে কারণে তার দৃষ্টি কেবল এক বছরে সীমাবদ্ধ নয়। আওয়ামী লীগ ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদে পরিণত করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪-তে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম সারির উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত করার রূপরেখা অঙ্কিত হয়েছে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন