প্রচ্ছদ

ইংল্যান্ড-পাকিস্তান দ্বৈরথ শুরুর আগেও আমির

১৪ জুলাই ২০১৬, ০৩:৫৪

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

imageঢাকা: ক্যারিয়ার যেখানে মুখথুবড়ে পড়েছিল সেখান থেকেই আবার শুরু করতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ আমির। ২০১০ সালে চতুর্থ ও শেষ টেস্টে জুয়াড়ির কথামতো নো বল করে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে কলংকিত করেছিলেন এই তরুণ। সেই ঘটনার ছয় বছর কেটে গেছে। জেল খাটা থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে চলেছেন আমির।

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে না যত কথা তার চেয়ে বেশি হচ্ছে আমিরকে নিয়ে। কারণটাও সবার জানা। আমিরকে কিভাবে স্বাগত জানায় ইংল্যান্ড সেটা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বই। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে চার টেস্টের সিরিজের প্রথমটি। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল চারটায়।

লর্ডসে অভিষেক হতে যাচ্ছে জ্যাক বলের। এক বছর পর দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন গ্যারি ব্যালান্স। ইংল্যান্ডের জন্য দুঃসংবাদ পেস আক্রমণের নেতা জেমস অ্যান্ডারসনকে তারা পাচ্ছে না। তিন নম্বরের হট সিটে দেখা যাবে জো রুটকে। শ্রীলংকার বিপক্ষে নিক কম্পটনের ধারাবাহিক ব্যর্থতা সুযোগ করে দিয়েছে ব্যালান্সকে।

ইংল্যান্ডের চোট সমস্যা থাকলেও পাকিস্তানের নেই। মিসবাহ-উল-হক সেট দলই পাচ্ছেন। শেষবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর স্মৃতি এখনো টাটকা মিসবাহদের। আমিরকে নিয়ে খুব বেশি কথা হলেও আসল কাজ করে দিতে পারেন ওয়াহাব রিয়াজ। স্পিনে ইংলিশদের নাভিশ্বাস তুলে দিতে পারেন ইয়াসির শাহ। রাহাত আলী বা ইমরান খানের মধ্যে যে কেউ চার নম্বর বোলারের অভাব পূরণেও তৈরি আছেন।

বোলিং তো আছেই এই সফরে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাবা হচ্ছে পাকিস্তানের ব্যাটিংকে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার রয়েছেন এই দলে। মিসবাহ ও ইউনিস খান। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সমারসেটের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও সাসেক্সের বিরুদ্ধে ঠিকই জ্বলেছে মিসবাহর ব্যাট। রানের মধ্যে আছেন ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলী ও আসাদ শফিকও। সব মিলে বলা যায়, শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড যত সহজে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তানের সঙ্গে তার উল্টোও হতে পারে। কারণ নতুন কোচ মিকি আর্থার ও প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক একটা মিশন নিয়েই গেছেন ইংল্যান্ডে।

লর্ডসের ইতিহাস বলছে, এখানে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল মোট ১৪ বার। এর মধ্যে পাকিস্তান তিন আর ইংল্যান্ড জিতেছে পাঁচবার। শেষবার ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেংকারির সেই ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছিল ইনিংস ও ২২৫ রানে। সেই ম্যাচে আবার জোনাথন ট্রটের সঙ্গে যৌথভাবে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন আমির।

৪২ বছর ৪৭ দিনে মিসবাহ ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন। তিনিই পাকিস্তানের সবচেয়ে সফলতম টেস্ট অধিনায়ক। মিসবাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান ৪২ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। জয় পেয়েছে ২০টিতে। স্টুয়ার্ট ব্রড ৯৫তম টেস্টে ৫ উইকেট পেলেই ২২তম বোলার হিসেবে ৩৫০ উইকেট তুলে নেওয়ার কৃতিত্ব দেখাবেন।

ইংল্যান্ড (সম্ভাব্য): অ্যালিস্টার কুক (অধিনায়ক) অ্যালেক্স হেলস, জো রুট, জেমস ভিন্স, গ্যারি ব্যালান্স, জনি বেয়ারস্টো, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, স্টুয়ার্ট ব্রড, জ্যাক বল, স্টিভেন ফিন।

পাকিস্তান (সম্ভাব্য): মিসবাহ-উল-হক (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শান মাসুদ, আজহার আলী, ইউনিস খান, আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির, রাহাত আলী/ইমরান খান, ইয়াসির শাহ।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার