প্রচ্ছদ

তুরস্কে ‘গণতন্ত্র রক্ষা’র মিছিল

১৭ জুলাই ২০১৬, ১২:১৮

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

imageতুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হয়েছে গণতন্ত্র রক্ষার মিছিল। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন ওই মিছিলে।
শনিবার (১৬ জুলাই) আঙ্কারা, ইস্তানবুলসহ তুরস্কের বড় বড় শহরগুলোতে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র রক্ষা’র মিছিল আয়োজন করা হয়। মিছিলে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন।
এদিকে, অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর তুরস্কের সর্বোচ্চ বিচারিক কর্তৃপক্ষ হাই কাউন্সিল অব জাজেজ অ্যান্ড প্রসিকিউটর (এইচএসওয়াইকে) দুই হাজার ৭৪৫ জন বিচারককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, অব্যাহতি দেওয়া বিচারকদের মধ্যে এইচএসওয়াইকে-র পাঁচ সদস্যও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় তুর্কি সেনাবাহিনীর একাংশ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের শাসনভার নেওয়ার দাবি করে, যা দেশটির টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ডানপন্থী সরকার উচ্ছেদের দাবি করে দেশটির সেনাবাহিনীর একাংশ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। টেলিভিশনের পর্দায় পড়ে শোনানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এখন ‘শান্তি পরিষদ’দেশ চালাবে এবং কারফিউ ও সামরিক আইন জারি থাকবে। একই সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক বহাল থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাধান্য পাবে। কারফিউর বিরোধিতা করে এরদোয়ানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সব অংশের সমর্থন না থাকায় এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তৎপরতায় জনগণ রাস্তায় নেমে এলে বিদ্রোহী সেনাদের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জনতা রাজপথে অবস্থান নেয়, অপরদিকে পুলিশ বিদ্রোহী সেনাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২৬৫ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের চেষ্টাকারী ১০৪ জন। বাকিরা পুলিশ ও বেসামরিক লোকজন। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম জানিয়েছেন, অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীরা বাদে নিহতের সংখ্যা ১৬১ জন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮৩৯ জন বিদ্রোহী সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার