সারাদেশে জঙ্গিবাদবিরোধী ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
২৬ জুলাই ২০১৬, ১২:৫৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ধর্মান্ধরা। এই সন্ত্রাসের কাছে মাথানত করবো না। জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। সারা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এদেরকে নির্মূল করবো।
বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবে না বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একদল ধর্মান্ধ ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করে আসছে। এসব কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখন হুমকির মুখে।
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলা, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার হামলার ঘটনা উল্লেখ করে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে কল্যাণপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতার ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে দেওয়ার ঘটনাও তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ খুন করা ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম ধর্মের নামে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে তারা প্রকৃতপক্ষে ইসলামকে কলুষিত করে।
‘এরা ইসলামের বন্ধু নয়, শত্রু’- যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমস্যা আমাদের নিজেদেই সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবে না।
সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ সমস্যা একক প্রশাসনিক প্রচেষ্টায় মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এটা সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সারাদেশে জঙ্গিবাদবিরোধী ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, এটিকে কাজে লাগাতে হবে।
জেলা প্রশাসক-বিভাগীয় কমিশনারদের নিজ নিজ এলাকায় চলমান জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের কাজে মূল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সমাজজীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনকে সতর্কতার সঙ্গে এবং কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করারও আহ্বান জানান তিনি।