প্রচ্ছদ

ঢাকার নতুন কারাগারে বন্দীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

২৯ জুলাই ২০১৬, ২১:০৮

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

imageবাংলাদেশে ঢাকার দক্ষিণে কেরানীগঞ্জে যে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার তৈরি হয়েছে – তাতে আজ পুরোনো কারাগার থেকে বন্দীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত প্রায় দু’শো বছরের বছরের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ৬ হাজারেরও বেশি বন্দীকে নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়ার কাজ শেষ হবে আগামীকালের মধ্যেই।
এর পর এই কারাগারের প্রায় ১৭ একর জায়গা জুড়ে একটি পার্ক এবং জাদুঘর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
এ বছর এপ্রিল মাসে ঢাকার দক্ষিণে কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে নির্মিত নতুন কারাগার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কারা মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন, নতুন কারাগারে ৫ হাজার ৪৯০ জন কয়েদী রাখার ক্ষমতা আছে।
তবে পুরোনো কারাগারে তার চাইতেও বেশি বন্দী ছিল – ফলে কারাগার স্থানান্তরিত হলেও ধারণক্ষমতার চাইতে বেশি বন্দী থাকার সমস্যা সম্পূর্ণ দূর হচ্ছে না।
ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারটি একটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মোঘল আমলে ঢাকা যখন বাংলার রাজধানী হয় তখন কারাগারের এলাকায় একটি দুর্গ এবং টাকশাল গড়ে তোলা হয়েছিলো।

কিন্তু পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলের শুরুর দিকে এটিকে জেলখানায় রূপান্তরিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতে, ঢাকার কোতোয়ালি থানাও একসময় যুক্ত ছিলো এই জেলখানার সাথে। পরে ১৮৩৬ সালে এই থানাটিকে জেলখানা থেকে সরিয়ে নিয়ে গড়ে তোলা হয় জেল হাসপাতাল।
পরে এই ‘ঢাকা জেলকে’ কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিণত করা হয় ১৮৭৯ সালে।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এরকম প্রায় সব নেতাকেই কোনো না কোনো সময়ে এই কারাগারের ভেতরে থাকতে হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চার নেতা, জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিত, তাদেরকেও এই কারাগারে বহু সময় কাটাতে হয়েছে।
যে সেলে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো সেখানে একটি স্মৃতি জাদুঘর তৈরি করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান যে সেলে থাকতেন সেটিও জাদুঘর হয়েছে।
এই ঐতিহাসিক ভবনগুলো সংরক্ষণ করেই পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাটিকে একটি উন্মুক্ত উদ্যান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার