এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম : আশরাফুল
১৪ আগস্ট ২০১৬, ২১:৩৮
আইসিসির ‘গুড অব কন্ডাক্ট’ নামের একটা ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপরই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না তাঁর। তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় দারুণ খুশি সর্বকনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০১৩ সালের আগস্টে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। গতকাল শনিবারই তাঁর এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
দীর্ঘ সময় এই দিনটিরই অপেক্ষায় ছিলেন আশরাফুল, ‘অপেক্ষায় ছিলাম কবে এই দিনটি আসবে। আমার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। তিন বছর হলো বিসিবির অধীনে কোনো ম্যাচ খেলতে পারছিলাম না। এটা আমার জন্য কষ্টেরই ছিল। যদিও এরই মধ্যে আমি যুক্তরাষ্ট্রে একটা টুর্নামেন্টে খেলেছিলাম।’
তিন বছরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আমি ভাগ্যবান যে দ্বিতীয় সুযোগ পাচ্ছি। অবশ্য আমাকে আরো দুই বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। যদি ঘরোয়া আসরে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে হয়তো সুযোগ তৈরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হলে আশরাফুলকে আরো দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ এই সেঞ্চুরিয়ান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার যে মেয়াদ আছে, বিসিবি চাইলে তা আরো আগেই তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। অবশ্য এর জন্য আমাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলতে হবে। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’
আশরাফুলের এখন লক্ষ্য আরো বেশ কিছুদিন ক্রিকেট খেলে যাওয়া, ‘আমার সামনে এখনো অনেক সময় পড়ে আছে। আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই আরো আট-দশ বছর ক্রিকেট খেলেতে পারব। সেই সামর্থ্য আমার আছেও।’
বিপিএলে ম্যাচ পাতানোয় জড়িয়ে আট বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পান আশরাফুল। এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। তাতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমে দাঁড়ায় পাঁচ বছরে। এর মধ্যে দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় শাস্তিটা আসলে তিন বছরের। আইসিসি ও বিসিবির শিক্ষা ও পুনর্বাসন কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করলে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।
৬১ টেস্ট খেলে ছয়টি শতক ও আটটি অর্ধশতকসহ ২,৭৩৭ রান করেছেন আশরাফুল। ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান ৩,৪৬৮। যার মধ্যে আছে তিনটি শতক ও ২০টি অর্ধশতক।