প্রচ্ছদ

কোরবানির বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করা গেলে জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে

২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৩২

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

2016-08-23_6_165048রাজধানীর কলাবাগানে আজ এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, কোরবানি পশুর বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করা গেলে জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধ করাও সম্ভব।
তারা বলেন, ‘মক্কার আদলে কোরবানি ও এর বর্জ্যগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জবাই পরবর্তী উচ্ছিষ্ঠাংশ সমূহকে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত এই গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা স্বাস্থ্যসম্মত পশু কোরবানীর স্বার্থে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদুল আযহা পর্যন্ত গরু মোটা তাজাকরণ ট্যাবলেট ও হরমোন জাতীয় ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পবার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম সফিউল্লাহ’র সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, সহ-সম্পাদক আবুল হাসনাত, মো. সেলিম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ। পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বক্তারা বলেন, যত্রতত্র পশু জবাই না করে মক্কা নগরীর আদলে নির্ধারিত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিস্কার-পরিচ্ছন স্থানে কোরবানি করতে হবে। পশুটি রোগমুক্ত এবং কোরবানির উপযুক্ত কিনা সেটাও পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। একটি পশুর সামনে অন্য আরেকটি পশুকে জবাই করা হবে না। এমনকি নির্বাচিত পশুর সামনে জবাইয়ের ছুরি ধার দেয়াও যাবে না।
তারা বলেন, ১৮ বছরের নিচে কাউকে দিয়ে গরু জবাই না করে প্রশিক্ষিত ব্যক্তি দ্বারা পশু জবাই করানো উচিত। কোরবানি সংক্রান্ত ধর্মীয় বিধি বিধানের প্রয়োগের ব্যবস্থাদি এবং বর্জ্য সংগ্রহের একটি সুষ্ঠু ও কার্যকর পদ্ধতি বা সিস্টেম থাকবে।
কোরবানির পশু থেকে উৎপন্ন বর্জ্য চামড়া, শিং, খুর, লেজ ও লেজের লোম, হাড় ও রক্ত, নাড়িভুড়ি, গোবর যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, এসব বর্জ্য থেকে সার, বোতাম, চিরুনী, পশুখাদ্য, মৎস খাদ্য, হাসমুরগির খাদ্য উৎপন্ন করা যায়।
এ ব্যাপারে তারা সরকারি ও বেসরকারিভাবে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করার ওপর জোর দেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে একটি মাঝারি আকারের গরুর কোরবানির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। মক্কা নগরীর আদলে কোরবানির ব্যবস্থা করা হলে এই খরচ চার ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার