প্রচ্ছদ

লিবিয়ার উপকূল থেকে সাড়ে ছয় হাজার শরণার্থী উদ্ধার

৩০ আগস্ট ২০১৬, ১৬:২৩

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

2016-08-30_3_501499রোম, ৩০ আগস্ট ২০১৬ (বাসস): লিবিয়ার উপকূল থেকে সোমবার প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতালির কোস্টগার্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
উদ্ধার অভিযানের একটি ছবিতে দেখা গেছে, একটি ছোট মাছ ধরার নৌকায় প্রায় ৭শ’ অভিবাসন প্রত্যাশী গাদাগাদি করে বসে আছে এবং কয়েকজন লাইফ জ্যাকেট পরে নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে উদ্ধার কর্মীদের দিকে যাচ্ছে।
উদ্ধার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) অংশ নেয়। সংগঠনটি জানায়, একটি পাঁচ দিনের শিশুসহ বেশ কয়েক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিমানে করে ইতালির একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এক টুইটার বার্তায় কোস্টগার্ড বলেছে, প্রায় ৪০ টি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তারা ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়া থেকে এসেছে। লিবিয়া হয়ে ইতালিতে ঢুকে ইউরোপের কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
ছোট ছোট নৌকায় করে আসা সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে নৌযানে তুলে নেয় ইতালির কোস্টগার্ড। উদ্ধার অভিযানে ইতালি, মানবিক বিভিন্ন সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স’র নৌযান ব্যবহৃত হয়।
ইতালির কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র জানান, আমরা বিশেষত আজ খুব ব্যস্ত।
রোববারও একই এলাকা থেকে ১১শ’র বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও কোস্টগার্ড জানায়, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ইতালিতে আসা মোট শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৫শ’। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৬ হাজার।
এমএসএফ জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গ্রিস বা ইতালি যাওয়ার পথে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
ইউএনএইচসিআর জানায়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আরো দুই লাখ চার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
গত বছর ১০ লাখেরও বেশি লোক ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে পালিয়েছিলো।
লিবিয়ার সাবেক নেতা গাদ্দাফির পতনের পর থেকে অস্থিতিশীল লিবিয়া যেন অবৈধভাবে ইতালিতে ঢোকার একটা ‘খোলা পথ’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যুদ্ধ ও দারিদ্র্যের কারণে সোমালিয়া, ইরিত্রিয়াসহ আশপাশের দেশের নাগরিকেরা লিবিয়া হয়ে প্রথমে ইতালি ও পরে ইউরোপের অন্য কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার