পর্যটন সুবিধাদি প্রদানে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১০:৩৪
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি সকল শ্রেণির মানুষকে স্বল্প খরচে বাংলাদেশ ভ্রমণে এবং অন্যান্য পর্যটন সুবিধাদি প্রদানে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এই আহবান জানান।
২৭শে সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সকলের জন্য পর্যটন : সার্বজনীন পর্যটনের অভিগম্যতা’।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। দেশের পর্যটনকে দেশি-বিদেশি নারী, পুরুষ, বয়স্ক, যুবা, শারীরিকভাবে অক্ষম ও আর্থিকভাবে অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল অর্থাৎ সকল শ্রেণির মানুষের নিকট তুলে ধরতে সরকার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, স্বল্প খরচে ভ্রমণ, আবাসন ও বিনোদনসহ বিভিন্ন পর্যটন সুবিধাদি সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে পৌঁছে দিতে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের সামনে আমরা স্থানীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারি।
তিনি বলেন,বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে সরকার ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। তিনিই উপলব্ধি করেছিলেন বাংলাদেশ পর্যটনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় একটি দেশ।
বিশ্ব পর্যটন দিবসের সফলতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হব।
বাণীতে তিনি পর্যটন কর্মকান্ডে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৬’ পালন করায় আনন্দ প্রকাশ করেন।-বাসস