সংসদে জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল পাস
০৬ অক্টোবর ২০১৬, ২১:১১
বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করার বিধান করে আজ বৃহস্পতিবার সংসদে জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৬ পাস করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা-৬ সংশোধন করে উপধারা (২) এর দফা (চ) এর পরিবর্তে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য অথবা জেলা পরিষদের প্রশাসক হন বা থাকেন’, তবে শর্ত থাকে যে জেলা পরিষদের প্রশাসক পদত্যাগ সাপেক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন শীর্ষক (চ) দফা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বিলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণকালে তাদের পরিচিতির জন্য পিতা বা স্বামীর নামের সাথে মাতার নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিধান করা হয়েছে।
বিলে আদালত থেকে চেয়ারম্যান বা সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ হওয়া সাপেক্ষে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান করা হয়েছে।
বিলে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের বিধান করা হয়েছে।
বিলে নির্বাচন পরিচালনাসহ এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনকে প্রদান করা হয়েছে।
বিলে নির্বাচনী অপরাধসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ ও শাস্তি প্রদানের বিধান করা হয়েছে।
বিলে প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভূক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ, পৌরসভার মেয়র মেয়র ও কাউন্সিলরগণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণসমন্বয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের নির্বাচকমন্ডলী গঠনের বিধান করা হয়েছে।
বিলে পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের ওপর ন্যস্ত করার বিধান করা হয়েছে।
বিলে জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬ রহিত করা হয়েছে।
এছাড়াও বিলে বিদ্যমান আইনের ২০ (২) (ছ), (ঠ) ২৪ (২), ৪৮ (২) (গ) ৫৪ (৩), ৬০ (৩), ৭৩ (১) ধারাসমূহ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী ও আবদুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন