প্রচ্ছদ

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যেসব চুক্তি সই হলো

১৫ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৪০

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

img_7330চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলা, সেতু নির্মাণ, বিনিয়োগ ও উৎপাদন সক্ষমতা সহযোগিতা, বাংলাদেশ-চীন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই, সমুদ্রাঞ্চলে সহযোগিতা; দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, জ্বালানী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী সহযোগিতা, ইনফরমেশন সিল্ক রোড, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সমঝোতা স্মারক সই হয়।

দুই দেশের মধ্যে কর্ণফুলি নদীর নিচে একাধিক লেনের টানেল নির্মাণ ও দাশেরকান্দিতে সাগরকেন্দ্রিক ট্রিটমেন্ট প্রকল্পের কাঠামোগত চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

এছাড়া উৎপাদন সক্ষমতা সহযোগিতায় চুক্তির পাশাপাশি ঋণ ও অর্থনৈতিক চুক্তি হয়েছে দাশেরকান্দি সমুদ্রকেন্দ্রিক ট্রিটমেন্ট প্রকল্প, কর্ণফুলি নদীর নিচ দিয়ে একাধিক লেনের টানেল নির্মান, পায়রায় ১৩শ ২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চীনের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ব্রডকাস্টিং লাইসেন্স প্রটোকল ইস্যুতে।

সমঝোতা হয়েছে দ্বি-স্তরের পাইপলাইন সমৃদ্ধ পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা এবং ডিপিডিসি এলাকা ও ৫টি টেলিভিশন স্টেশনের মধ্যে পাওয়ার সিস্টেমের বর্ধিতকরণ বিষয়ে নিয়েও।

পরে দুই রাষ্ট্রের নির্বাহী এক যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনিস্টিটিউট, কর্ণফুলি নদীর নিচে একাধিক লেনের টানেল, পায়রা’য় ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াটের তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প, চার স্তরের জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার, চট্টগ্রামে ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, শাহজালাল সার কারখানা প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এছাড়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বাংলাদেশ ও চীনের ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

২২ ঘণ্টার সফরে বাংলাদেশে আসেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও আলোচনা শেষে এসব চুক্তি সাক্ষরিত হয়। সফর শেষে শনিবার ঢাকা ত্যাগ করবেন শি জিনপিং।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার