যুক্তরাষ্ট্রে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট বিলুপ্ত করতে চাপ সিনেটরের
১৬ নভেম্বর ২০১৬, ১৬:৩১
ওয়াশিংটন, ১৬ নভেম্বর ২০১৬ : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের একজন সিনেটর মঙ্গলবার ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট বাতিলের আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ব্যবস্থার কারণে এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন প্রায় ১০ লাখের মতো ভোট বেশি পাওয়া সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি উঠেছে। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর বারবার বক্সার এ আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমন একটা দেশ যেখানে আপনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট পদে হারতে পারেন।’
মার্কিন সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোট নয়, ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট নির্ধারিত রয়েছে।
বক্সার বলেন, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ব্যবস্থা সেকেলে ও অগণতান্ত্রিক যা আমাদের আধুনিক সমাজের প্রতিফলন নয়। এবং এটা অবিলম্বে পরিবর্তন করা প্রয়োজন। প্রত্যেক আমেরিকানকে এই নিশ্চয়তা দেয়া উচিত যে তার ভোট গণনা করা হচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আংশিক ফলাফল অনুযায়ী, হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় আট লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন। তবে তিনি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে হেরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৯ অঙ্গরাজ্যের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প ২৯০ টি ও হিলারি ২৩২ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। একটি রাজ্যের ফল ঘোষণা এখনও বাকি রয়েছে। তবে এ রাজ্যে হিলারি জিতলেও তা নির্বাচনের ফলাফলে কোন প্রভাব ফেলবে না।(বাসস)