প্রচ্ছদ

লিভার হোক বা ফুসফুস, সুস্থ থাকে লবঙ্গের গুণে

০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১১:৪২

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

image_146810_0গোলাপি রঙের ফুলের কুঁড়িকে রোদে শুকিয়ে বাদামি করে নেওয়া হয়। গোটা ফোড়ন হিসাবে দেওয়া যায় রান্নায়, আবার শুকনো কড়ায় ভেজে গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দেওয়া যায় রান্নার একদম শেষে। একটু মিষ্ট-একটু ঝাঁঝালো। শুধ মশলা হিসেবে নয়, ওষুধ হিসেবেও লবঙ্গর গুণ অপরিসীম। দাঁতে ব্যথা সারাতে, অনিদ্রা দূর করতে, এমনকী ফুসফুস, লিভার সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে লবঙ্গ।

লবঙ্গর পুষ্টিগুণ-
১০০ গ্রাম লবঙ্গে রয়েছে-
৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৬ গ্রাম প্রোটিন
১৩ গ্রাম টোটাল লিপিড
২ গ্রাম সুগার
২৭৪ কিলো ক্যালোরি শক্তি
৩৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার

খনিজ-
ক্যালসিয়াম
আয়রন
ম্যাগনেশিয়াম
ফসফরাস
পটাশিয়াম
সোডিয়াম
জিঙ্ক

ভিটামিন
বি ৬
বি ১২
সি, এ, ই, ডি, কে
থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট।
লবঙ্গের তেলে পাওয়া যায় ফ্ল্যাভোনয়েড, হেক্সানে, মেথিলিন ক্লোরাইড, ইথানল, থাইমল, ইউজেনল ইত্যাদি।

কী কী কাজ করে লবঙ্গ-
ইউজেনল থাকায় লবঙ্গের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ যা
হজমে সাহায্য করে
মাড়ি ব্যথা উপশম করে
রুট কেনাল থেরাপিতে কাজে আসে
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
সর্দি-কাশি সারায়
দাঁতে ব্যথা কমায়
ফোলা ভাব কমায়
ফুসফুসের ক্যানসারের আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় লবঙ্গ তেল
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণের জন্য লিভার সুস্থ রাখে লবঙ্গ

কত ভাবে ব্যবহার করতে পারেন লবঙ্গ-
চা করার সময় পানি ফেলে দিতে পারেন একটু লবঙ্গ।
ঠান্ডা লাগলে লবঙ্গে দেওয়া জলের ভাপ নিতে পারেন।
লবঙ্গ ও তিলের তেল মিশিয়ে কপালে মাখতে পারেন। অনিদ্রা দূর হবে।
লবঙ্গ বাটার সঙ্গে মধু ও লেবু মিশিয়ে মাখলে ব্রণ-ফুসকুড়ি কমে, দাগ মোছে, মুখ উজ্জ্বল হয়।
আলমারিতে জামাকাপড়ের ভাঁজে এক কোণে রেখে দিন লবঙ্গ।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার