চলতি অর্থবছরে ২৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান হবে : পরিকল্পনা মন্ত্রী
১৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:১৩
১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ : চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
তিনি বলেন,‘আমাদের অনেক বেকার আছে, এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরশেষে ৭ লাখ মানুষ দেশের বাইরে যাবে। সব মিলিয়ে বছরশেষে ২৭ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে দেশের বর্তমান অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দেশের আর্থিক সূচক ভালো উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,এর থেকে আমরা প্রাক্কলন করেছি-বছরশেষে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন,বর্তমানে আর্থিক সূচকের যে শক্তিশালী অবস্থা দেখা যাচ্ছে,তাতে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ অর্থনৈতিকভাবে অনেক ভাল একটি বছর হবে বলে আশা করছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,বিশ্ব ব্যাংক এবার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।যা সংস্থাটির জন্য একটি ভালো প্রজেকশন। কেননা সংস্থাটি এর আগে কখনও এতো ভালো প্রজেকশন দেয়নি ।
তিনি বলেন,বিশ্বব্যাংক সব সময় রক্ষণশীল পদ্ধতিতে প্রবৃদ্ধির হিসাব করে থাকে। এ কারণে বিশ্বব্যাংকের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনের সঙ্গে বিবিএসের হিসাবের পার্থক্য থাকে। এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন.‘কৃষি, সেবা ও শিল্প খাতের ওপর ভিত্তি করেই প্রধানত জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ে।তবে বর্তমানে কৃষি শ্রমিকের অভাবে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি সামান্য কমেছে।এ জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই খাতকে যান্ত্রিকীকরণ করার।’
এ বছর রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে মুস্তাফা কামাল বলেন, হুন্ডির মাধ্যমে অপ্রচলিত উপায়ে দেশে টাকা আসছে। ফলে রেমিটেন্স কম দেখাচ্ছে।তবে অপ্রচলিত উপায়ে টাকা পাঁচার বন্ধে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।এজন্য রেমিটেন্স প্রবাহে প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।এটা করলে বিদেশ থেকে আর অপ্রচলিত উপায়ে টাকা আসবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে প্রকল্প কাজ তদারকে গতি আনতে আইএমইডিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য সঠিক সময়ে যথাযথ পরিসংখ্যান দরকার। কিন্তু বিদ্যমান কাঠামোতে বিবিএস এই কাজটি এখনো যথাযথভাবে করতে পারছে না।অনেক ক্ষেত্রেই পুরাতন ফিগার ব্যবহার করতে হচ্ছে।একারণে বিবিএসকেও শক্তিশালী করা হবে।(বাসস)