প্রশ্ন ফাঁস হবে না, আশা মন্ত্রীর
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৩:২৪
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এসএসসিতে বসেছে সাড়ে ১৬ লাখ শিক্ষার্থী
প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করলে হাত ভেঙে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার ঢাকার তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, আমরা আশাবাদী, প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব না।”
সোমবার সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে অংশ নিচ্ছে ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী।
গত দুই বছর ধরেই এসএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হওয়ায় এবার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ফেইসবুকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো হলে বিটিআরসি ব্যবস্থা নেবে। দয়া করে গুজবে কান দেবেন না, কোনো ভ্রান্তিতে পড়বেন না।”
সেইসঙ্গে শিক্ষকদেরও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দেন নাহিদ।
“আমরা কম পাস করার প্রেশারে নেই। যে যা নম্বর পাবে তাকে সেই নম্বরই দেবেন। কাউকে কম বা বেশি দেবেন না।”
শিক্ষকদের ‘অতি উৎসাহী’ হতে নিষেধ করে তিনি বলেন, “কোনো শিক্ষক অতি উৎসাহী হয়ে বলবেন না যে শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দিতে বলা হয়েছে। এ ধরনের কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) ও বাংলা-২ (৮১২১) (সৃজনশীল) এবং দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) বিষয়ের পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা।
এতোদিন তত্ত্বীয় শেষে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হলেও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ মেলায় আগে এবার প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হচ্ছে।
আগামী ৮ মার্চ এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ৯ থেকে ১৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন