কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি ছাড়া অন্য দলের কাউকে আওয়ামী লীগের সদস্য করা যাবে না : ওবায়দুল কাদের
২২ মে ২০১৭, ১৬:১৩
২২ মে, ২০১৭(বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলে নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্য কোন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে চাইলে তার যোগদানের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কারো যোগদান স্বীকৃত হবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদক মন্ডলীর জরুরী সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপুমণি, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও ত্রাণ ও দুযোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ২০ মে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সদস্য পদ নবায়নের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। ওই সময় দু’জন নতুন সদস্যও আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পুরান সদস্যদের সদস্য পদ নবায়ন করতে হবে এবং নতুনরা সদস্য ফরম সংগ্রহ করে প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করতে পারবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালে দলে কোনভাবে যাতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে সম্পর্কে প্রতিটি দলীয় নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে। দল ভারী করতে কেউ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দলে ভেড়াতে পারবে না। কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যারা দলের মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষে কাজ করতে হবে। দলে যোগদান করে কেউ যাতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় বিরোধ তৈরি করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের দু’টি লক্ষ্য হলো আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করা। উন্নয়নের পর দলের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট দল হিসেবে গড়ে তুলে আগামী নির্বাচনে জয় লাভ করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নির্মূল করা হবে।
আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ , গ্যাস-পানি সরবরাহ স্বাভাবিক এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্যও সভায় আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার টুইটের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার হাতেই দেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। তিনি ও তার দলের নেতারাই দেশের অপরাজনীতির মূলহোতা। তাই তার মুখে এ ধরনের কথা মানায় না।’
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়।