পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে বদলে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
২৪ জুলাই ২০১৭, ১২:১৪
পদ্মা সেতু ও পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ সম্পন্ন হলে বদলে যাবে বরিশাল অঞ্চল। সরকারের বৃহৎ এই দুই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়বে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের। ইতোমধ্যে অনেক শিল্পপতি জমি কিনতে শুরু করেছেন এখানে। গড়ে উঠতে শুরু করেছে নিত্য নতুন শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে করে সুযোগ হবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির।
জানা যায়, পায়রা বন্দরে জমি কিনতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বড় বড় শিল্পপতিরা। শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য এখানকার জমির দামও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। গাজী, পারটেক্স, মদিনা, আজমত, নাভানা গ্রুপের মত প্রায় অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দর, কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকায় জমি কিনছে। আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে।
অন্যদিকে পদ্মা সেতুর ২পাশের বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে শিল্প কারখানা। অনেক ব্যবসায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এখানকার চাহিদার কথা মাথায় রেখে জমি কিনে রাখছেন। গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গার দিকে বিপুল শিল্পায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতুর সুফল কাজে লাগিয়ে পুরোদমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হলে এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলার কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কল্যাণে সরাসরি রেলপথ যাবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল দিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এর মাধ্যমে এখানে উচ্চমাত্রায় অর্থনৈতিক গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, পায়রা বন্দর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বরিশাল তথা এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা উৎসব মুখর অবস্থায় রয়েছে। কারণ পদ্মা সেতুরও নির্মাণ কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব্যাপক শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নেবে বরিশাল অঞ্চল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসবেন এখানে বিনিয়োগ করতে। বাসস