পদ্মাসেতুর কারণে কোনো প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: প্রধানমন্ত্রী
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২১:২৬
অনলাইন ডেস্ক | ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বড় প্রকল্প গ্রহণ করার মতো অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। সুতরাং পদ্মাসেতুর কারণে অন্য কোনো প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ পর্যন্ত যত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তার সব কটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এর কোনোটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, আবার কোনোটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের কোনো সমস্যা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং জনগণের অর্থের যাতে সঠিক প্রয়োগ হয়, বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কারও সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশের মানুষের অর্জিত টাকায় পদ্মাসেতু হচ্ছে। সেতুর নির্মাণকাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ বাংলার মানুষের সঙ্গে সারা দেশের মানুষের যোগাযোগ সহজ করা এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করার লক্ষ্যে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় হবে মোট ২৮ হাজার ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন, প্রকল্প ব্যয়ের সম্পূর্ণ অর্থ বাংলাদেশের মানুষের অর্জিত অর্থ, কারও আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা এতে নেই। এর প্রতিটি রড, ইট, পাথর, সিমেন্ট আমাদের জনগণের টাকায় কেনা। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হচ্ছে, পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে এবং ২০১৮ সাল নাগাদ এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংকের আনীত অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে কথিত দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশাল জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভাঙা থেকে বরিশাল পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা ও বিশদ ডিজাইনের জন্য ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমীক্ষা প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বহুল প্রত্যাশিত পদ্মাসেতু দিয়ে একই সময় গাড়ি ও ট্রেন চলাচল করবে। সেতুটি হবে দোতলা, এর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন এবং ওপর দিয়ে চলবে গাড়ি। পদ্মাসেতুতে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল শুরুর দিন থেকে রেল চলাচলের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প এবং ভাঙা থেকে বরিশাল পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা-মাওয়া-বরিশাল রুটে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে।
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন