সিলেটের কুশিয়ারা নদী
২৯ আগস্ট ২০১৭, ১০:১১
সিলেটর একটি অন্যতম নদী কুশিয়ারা নদী। এই নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে গ্রাম, গ্রাম থেকে জনপদ, লোকালয় ও শহর বন্দর। বাংলাদেশের নদী পরিচিতি নিয়ে আজ থাকছে বাংলাদেশের অন্যতম নদী সিলেটের কুশিয়ারা নদী।
উৎপত্তি
কুশিয়ারা নদী ভারতের আসাম রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের পর্বত থেকে উদ্ভুত হয়েছে।
প্রবাহ
কাছাড় জেলার শিলচর থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে ২৪°৫৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°৩২´ দক্ষিণ দ্রাঘিমাংশ বরাবর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অমলসিদ নামক স্থানে বরাক দুটি ধারায় বিভক্ত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমের ধারাটি সুরমা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ধারাটি কুশিয়ারা। হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার মারকুলী নামক স্থানে কুশিয়ারা পুনরায় সুরমার সঙ্গে মিলিত হয়ে কালনী নাম ধারণ করে দক্ষিণ দিকে ভৈরব উপজেলার ভৈরববাজার পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার পর সুরমার অপর শাখা ধনুর সঙ্গে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়েছে।
শাখানদী
মারকুলীর উজানে কুশিয়ারা কিছুটা জায়গা জুড়ে বিবিয়ানা নদী নামেও পরিচিত।
কুশিয়ারা এবং সুরমা নদীর উৎপত্তিস্থল অমলসিদে সুরমা নদীর তলদেশ প্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে বরাকের প্রায় ৮৫% প্রবাহ কুশিয়ারা দিয়ে প্রবাহিত হয়।
দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ
কুশিয়ারার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬১ কিমি, গড় প্রস্থ ২৫০ মিটার।
গভীরতা
বর্ষা মৌসুমে গড় গভীরতা প্রায় ১০ মিটার।
পানির প্রবাহ
কুশিয়ারা নদী আসাম রাজ্যের পাহাড়ী এলাকা থেকে প্রচুর পানি এবং পলি বহন করে নিয়ে আসে। আবার প্রবল স্রোতের কারণে ধাবক্ষয়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। শেরপুরে সর্বোচ্চ ৩,৭০০ এবং সর্বনিম্ন ৩৩ কিউমেক পানি প্রবাহ পরিমাপ করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য স্থান
কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, রাজনগর, মৌলভীবাজার, নবীগঞ্জ, জগন্নাথপুর ইত্যাদি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সার কারখানা
নদীর তীরেই ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা অবস্থিত।
তথ্য উৎস : বাংলাদেশের নদী কোষ
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন