ঘুম যদি কম হয়
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ২২:১৪
03/02/16: .কারও হয়তো রাতে ভালো ঘুম হয় না। কেউ সারা রাত জেগে কাজ করেন বা ফেসবুক নিয়ে থাকেন। কেউ অনেক রাত জেগে টিভি দেখেন। কারও কারও হয়তো পেশাগত কাজটাই রাতে। দিনের পর দিন এ রকম ঘুমের স্বল্পতা আপনার ক্ষতি করতে পারে। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নির্ঘুমতা আপনার শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা তৈরি করতে পারে।
ঘুম অবশ্য নির্ভর করে বয়স, কাজের ধরন ইত্যাদির ওপর। যেমন ছোট শিশুরা দিনে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমায়। কিশোর-তরুণদের দিনে সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। সর্বনিম্ন ছয় ঘণ্টা বা সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা হতে পারে এই সময়।
এখন দিনের পর দিন এই ঘুমের সময়টা ওলটপালট হলে তার প্রভাব পড়ে দেহ-মনে। ধারাবাহিক ঘুমের স্বল্পতা মানুষের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়, বিষণ্নতায় আক্রান্ত করে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে। ঘুমস্বল্পতা চলতে থাকলে ব্যথা-বেদনার অনুভূতিতে পরিবর্তন আসে। ফলে অল্পতে বেশি ব্যথা হয়। প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতায়ও। দৈনন্দিন কাজেও মনোযোগ কমে গিয়ে দক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই কম ঘুমিয়ে রাত কাটানো বন্ধ করুন।
ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ