প্রচ্ছদ

ঘামঝরানো জয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৬:২৯

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

images (1)০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬,
স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য নেপালের বিপক্ষে করতে হতো ২১২ রান। কিন্তু সে লক্ষ্যে পৌঁছাতেও বেশ ভালোই কষ্ট করতে হলো বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জাকির হোসেন ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ছয় উইকেটের জয়। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো পা রেখেছে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।

২৯ ওভারের মধ্যে ৯৮ রান সংগ্রহ করতেই চারটি উইকেট হারিয়ে ভালোই বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে এরপর শক্ত হাতেই দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক মিরাজ। জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এটাই পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৭৭ বলে ৭৫ রান করেছেন জাকির। মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ বলে ৫৫ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ের জন্য ২১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও পিনাক ঘোষ। প্রথম ছয় ওভারে করেছিলেন ১৬ রান। সপ্তম ওভারে সুনীল ধামালার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন সাইফ। ২১ বল খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান। ২০তম ওভারে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে পিনাক খেলেছেন ৫৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস। দুই ওভার পর বোলারের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন বাংলাদেশ যুব দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা নাজমুল হোসেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে করতে পেরেছেন মাত্র ৮ রান। দলীয় ৯৮ রানে আউট হন জয়রাজ শেখ। ফেরার আগে ৩৮ রান করতে পেরেছিলেন তিনি। চাপের মুখে পড়লেও দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন জাকির ও অধিনায়ক মিরাজ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রাজু রিজালের ৭২ রানের দারুণ ইনিংসটির সুবাদে স্কোরবোর্ডে ২১১ রান জমা করেছিল নেপাল।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবারই প্রথমবারের মতো পা রেখেছে সেমিফাইনালে। এর আগে ২০০৬ সালে পঞ্চম স্থান নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সেই দলে খেলেছিলেন বর্তমান জাতীয় দলের তিন কাণ্ডারি সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার