প্রচ্ছদ

কুশিয়ারা নদীর ফের বাড়ছে পানি, ফেঞ্চুগঞ্জে বন্যার আশংকা

১২ জুলাই ২০২০, ১৮:১৫

ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার

স্টাফ রিপোর্টার:: ভারীবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফের কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এর আগে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। এতে পানি সর্বোচ্চ বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এরপর পানি কমতে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় আবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশষ্কা করছেন এলাকাবাসী। এদিকে উজানে ভারতের পাহাড়ি এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি হতে পারে বলে জানিয়েছে পাউবো।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৭৪নং গেজ স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১২ জুলাই) ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে কুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকা। উপজেলার কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী পিঠাইটিকর, ছত্তিশ, ভেলকোনা সহ হাকালুকি হাওর তীরবর্তী বাদেদেউলী, যুধিষ্ঠিপুর ও বাঘমারা গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। অনেক বসতবাড়ির আঙিনা পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেক বসত-বাড়ির আঙিনা পানিতে প্লাবিত। বাড়ির পাশে গৃহিণীদের ফলানো বিভিন্ন শাকসবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানির কারণে ঘরে রান্না করতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনেকে। তাই ঘরে মেঝেতে ভাসমান চুলায় রান্না করতে দেখা যায় গৃহিণীদের। সুফিয়া খাতুন নামে একজন গৃহিণী জানান, ‘পানি বাড়ার (বৃদ্ধি) লাগি (পাওয়ায়) গরু, ছাগল ও গৃহপালিত পশু নিয়া খুব ঝামেলায় (বিপাকে) আছি। গরুর খানি (গোখাদ্যের) মিলে না (চরম সংকট দেখা দিয়েছে)।’

উপজেলার বাঘমারা গ্রামের বাসিন্দা ফয়সল আহমদ বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গেলো বছর জুড়ি ও সোনাই নদী খননের কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে। অকাল বন্যা থেকে বাঁচতে পারছেন ফেঞ্চুগঞ্জের নদী ও হাওর তীরবর্তী মানুষ।

সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম বারী বলেন, উজানে ভারতের পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ওই এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে ও বন্যা দেখা দিতে পারে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, এখনো ফসলের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আমরা পায়নি। তবে শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আমন ধানের উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
0Shares

সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম

ফেসবুকে ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার